পিজ্জার দাম কত ২০২৪
আসসালামু আলাইকুম। আশা করি সকলে ভালো আছেন। আজকে আমরা পিজ্জার দাম সম্পর্কে আলোচনা করবো। পিজ্জা প্রায় সকলের অনেক পছন্দের একটি খাবার। বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় একটি খাবার। এই খাবারটির উদ্ভাবন হয়েছে মূলত ইতালির নেপলস শহরে। কালক্রমে এটি সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে, এবং সব বড় শহরেই এটি যথেষ্ট পরিচিতি ও জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। বাংলাদেশেও বর্তমানে অনেক রেসটুরেন্টে পিজ্জা পাওয়া যায়। অনেকেই জানতে চায় পিজ্জার দাম কেমন। আজকে আমরা আমাদের এই পোস্টের মাধ্যমে জানিয়ে দিবো পিজ্জার দাম কত।
পিজ্জার দাম কত
পিজ্জা বিশ্বব্যাপী অনেক জনপ্রিয় একটি খাবার। প্রায় সবাই কম বেশি পিজ্জা খেতে পছন্দ করে। সাধারণত সাইজ অনুযায়ী পিজ্জার দাম নির্ধারণ করা হয়। বর্তমানে বড় সাইজের (১২’’) একটি পিজ্জার দাম ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা। এছাড়া মিডিয়াম সাইজের (১০’’) একটি পিজ্জার দাম ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা। এবং ছোট সাইজের (৮’’) একটি পিজ্জার দাম ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা। তবে এর দাম স্থানভেদে কম বেশি হতে পারে।
চিকেন পিজ্জার দাম কত
পিজ্জা এমন একটি খাবার যা ছোট বড় সকলেই পছন্দ করে থাকে। পিজ্জা পছন্দ করে না এমন মানুষ খুব কম পাওয়া যাবে। পিজ্জা অনেক সুস্বাদু একটি খাবার। বিশ্বব্যাপী পিজ্জার অনেক জনপ্রিয়তা রয়েছে। তবে পিজ্জার মধ্যে চিকেন পিজ্জার চাহিদা বেশি তাই বড় বড় রেস্টুরেন্ট গুলোতে চিকেন পিজ্জা বেশি দেখা যায়। অনেকেই জানতে চায় চিকেন পিজ্জার দাম কত। চলুন জেনে নেই চিকেন পিজ্জার দাম।
বর্তমানে বাংলাদেশের রেস্টুরেন্ট গুলোতে অনেক রকম পিজ্জার দেখা যায়। তবে নানান রকম পিজ্জার মধ্যে চিকেন পিজ্জার চাহিদা অনেক। বর্তমানে বড় সাইজের (১২’’) একটি চিকেন পিজ্জার দাম ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা। এছাড়া (১০’’) সাইজের একটি চিকেন পিজ্জার দাম ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা। তবে একেক রেস্টুরেন্টে এর দাম একেক রকম হতে পারে।
পিজ্জা সস এর দাম কত
পিজ্জার সস। আমরা যারা বাড়িতে পিজ্জার বানিয়ে থাকি তারা অবশ্যই জানি পিজ্জা বানাতে পিজ্জা সস লাগে। পিজ্জার বানাতে যে উপকরণ গুলো লাগে তার মধ্যে পিজ্জা সস অন্যতম। অনেকেই জানতে চায় পিজ্জার সসের দাম দাম। চলুন জেনে নেই পিজ্জা সস এর দাম।
বর্তমানে Ragu পিজ্জার সসের দাম ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা। এছাড়া আমেরিকান পিজ্জা সস এর দাম ৩০০ টাকার মতো। এবং Discovery BBQ পিজ্জা সসের দাম ৩৫০ থেকে ৩৮০ টাকা হতে পারে। তবে এর দাম কম বেশি হতে পারে।
পিজ্জা বানানোর উপকরণ
পিজ্জা আমাদের সকলের পছন্দের একটি খাবার। পিজ্জা পছন্দ করে না অনেক কম মানুষ আছে। এটি অনেক সুস্বাদু একটি খাবার। আগে বাংলাদেশে পিজ্জার প্রচলন খুব একটা ছিলো না কিন্ত বর্তমানে বাংলাদেশে পিজ্জা অনেক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। অনেকেই ঘড়ে বসে ঘরোয়া পদ্ধতিতে পিজ্জা বানাতে চায়। কিন্ত পিজ্জা বানাতে কি কি উপকরণ লাগে তা সবাই জানে না। তাই আজকে আমরা জানিয়ে দিবো পিজ্জা বানানোর উপকরণ।
উপকরণঃ
২কাপ ময়দা, ১ চা চামচ ঈস্ট, হাফ কাপ দুধ, ১টেবিল চামচ চিনি, হাফ চা চামচ লবণ, ৪ টেবিল চামচ তেল , খামির নরম করার জন্য আরো খানিকটা কুসুম গরম দুধ (যদি লাগে)।
বিভিন্ন রং এর ক্যাপ্সিকাম (আপনি চাইলে যে কোনো সবজি দিতে পারেন), ১ টি ছোট পেঁয়াজ, রান্না করা মুরগির মাংসের ছোট ছোট টুকরো অথবা কিমা/সসেজ (এতে সময় বাঁচে), ঝুরি করা মোজ্জারেলা চীজ, ১ টেবিল চামচ শুখনো অরিগানো *একটু গোলমরিচের গুঁড়ো।
২টি পাকা টমাটো কুচি (উপরের পাতলা আবরণটি তুলে ফেলতে হবে), ১ টেবিল চামচ পেঁয়াজ কুচি ,১ চা চামচ রসুন কুচি , লবণ স্বাদ মত, হাফ চা চামচ গোলমরিচ এর গুঁড়ো , হাফ চা চামচ লাল মরিচের গুঁড়ো, হাফ চা চামচ অরিগানো ,২ টেবিল চামচ তেল , দেড় চা চামচ চিনি। এছাড়াও আরো উপকরণ লাগতে পারে। তবে এই উপকরণ গুলো দিয়ে সহজে পিজ্জা বানানো যাবে।
পিজ্জা বানানোর রেসিপি
পিজ্জা অনেক সুস্বাদু এবং জনপ্রিয় একটি খাবার যা কম বেশি সকলেই পছন্দ করে থাকে। পিজ্জা অনেক রকমের হয়ে থাকে। একেক ধরনের পিজ্জার স্বাদ একেক রকম হয়ে থাকে। পিজ্জা অনেকেই বাড়িতেই বানিয়ে থাকে। আবার অনেকেই বাড়িতে বানাতে চায় কিন্ত কিভাবে পিজ্জা বানাতে হয় তা সবাই জানে না। চলুন জেনে নেই পিজ্জা বানানোর রেসিপি।
চুলায় পিজ্জা তৈরি পদ্ধতি
প্রথম ধাপ
প্রথম একটি বড় বাটিতে কুসুম গরম দুধ নিয়ে নিতে হবে। এই দুধের সাথে চিনি, স্বাদমতো লবণ ও ইস্ট পাউডার দিয়ে দিতে হবে। এখন একটি চামচের সাহায্যে এ সবগুলো উপকরণ ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে। মিশানো হয়ে গেলে এই পুরো বাটিটাকে একটি ঢাকনা দিয়ে ১০ মিনিটের জন্য ঢেকে রাখতে হবে।
দ্বিতীয় ধাপ
10 মিনিট পর দেখা যাবে যে এটার ওপর একটু বুদ বুদ সৃষ্টি হচ্ছে এটাই হলো ইস্ট একটিভ করা। এখন এই বাটির মধ্যে ময়দা দিয়ে দিতে হবে। তারপরে এই ময়দা ও ওই উপকরণগুলো সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। কিছুক্ষণ মিশানো হয়ে গেলে তেল /বাটার দিয়ে দিতে হবে। এটা প্রথমে মিশাতে গেলে একটু আঠালো ভাব থাকবে। কিন্তু কিছুক্ষণ পরে এই আঠালো ভাব থাকবে না। এখন এটাকে প্রায় ১০ থেকে ১৫ মিনিটের জন্য ভালোভাবে মথে নিতে হবে।
তৃতীয় ধাপ
মোথা শেষ হয়ে গেলে একই বাটিতে চারপাশে তেল ব্রাশ করে নিতে হবে। তারপর এই ডোটাকে বল এর মত করে এই বাটিতে রেখে দিতে হবে। তারপর ডো এর পর তেল মাখিয়ে নিতে হবে। এখন এই ডোটাকে গরম জায়গায় এক থেকে দুই ঘন্টার জন্য রেখে দিতে হবে।
চতুর্থ ধাপ
এখন পিজ্জা ওপরে স্টাফিং এর জন্য হাড়ছাড়া মুরগির মাংস কে আদা ও রসুন বাটা দিয়ে হালকা একটু ভেজে নিতে হবে। ভাজাটা এমন হবে যে মাংস সিদ্ধ হয়ে যাবে। এখন এক থেকে দুই ঘন্টা পর দেখা যাবে যে পিজ্জার ডো ফুলে ডাবল হয়ে গেছে। তারপরে পিজ্জার ডোটিকে আবারো ১০ মিনিটের জন্য মেখে নিতে হবে।
এখন এই ডোটিকে সমান দুইটি অংশে ভাগ করে নিতে হবে । এখন যে পাত্রে পিজ্জা তৈরি করা হবে ওই পাত্রে সামান্য একটু ময়দা ছিটিয়ে নিতে হবে। তারপর একটি অংশ এনে এ পিজ্জা পাত্রে হাত দিয়ে আস্তে আস্তে করে ছড়িয়ে দিতে হবে।
তারপর ছড়ানো হয়ে গেলে হাত দিয়ে মাঝখান থেকে একটু ফোলা রেখে সাইড দিয়ে হালকা করে চেপে দিতে হবে। এখন একটি ব্রাশ দিয়ে টমেটো সস ব্রাশ করে নিতে হবে।
তারপর গ্রেটার করা চিজ ছড়িয়ে দিয়ে দিতে হবে। তারপর এক এক করে টমেটো, ক্যাপসিকাম পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ ওপরে দিয়ে দিতে হবে। তারপর ওপরে আবারো চিজ ছড়িয়ে দিতে হবে। যেহেতু আমি এটা চুলায় করব তার জন্য পিজ্জার সাইট গুলা কালার আনার জন্য আমি টমেটো সস দিয়ে দিব।
এখন কেক যেভাবে বেকিং করা হয় ঠিক একই পদ্ধতিতে এ পিজ্জা টাকে 10 থেকে 15 মিনিট বেক করে নিব।
শেষ ধাপ
১০ থেকে ১৫ মিনিট হয়ে গেলে একটি টুথপিক এর সাহায্যে চেক দিয়ে নিব। যখন দেখব যে টুথপিক ক্লিন আসবে তখন বুঝতে হবে যে পিজ্জা হয়ে গেছে। আর যদি টুথপিক ক্লিন না আসে তখন আরও ৫ মিনিট চুলার রাখতে হবে। এখন গরম গরম পিজ্জা সস এর সাথে পরিবেশন করতে পারেন। এছাড়া আরো অন্য পদ্ধতিতে পিজ্জা বানানো যেতে পারে।
আশা করি আমাদের এই পোস্ট থেকে আপনারা পিজ্জার দাম, চিকেন পিজ্জার দাম, পিজ্জার সসের দাম, পিজ্জা বানানোর উপকরণ, পিজ্জা বানানোর রেসিপি এবং পিজ্জা সম্পর্কে আরো অনেক কিছু জানতে পেরেছেন। আমাদের এই পোস্টে পিজ্জা সম্পর্কে বিস্তারিত দেওয়া আছে। আশা করি আমাদের এই পোস্টটি আপনাদের ভালো লেগেছে। পুড়ো পোস্টটি ধৈর্য ধরে সম্পূর্ণ পড়ার জন্য ধন্যবাদ।