আজকের গমের দাম কত । কাতিলা গমের দাম

আজকের গমের দাম কত । কাতিলা গমের দাম ২০২৪

Last Updated:10 months ago

আসসালামু আলাইকুম আশা করি সকলে ভালো আছেন। আজকে আমরা গমের দাম সম্পর্কে আলোচনা করবো। গম অনেক পুষ্টিকর একটি খাদ্য উপাদান। গম অনেক ভাবেই খাওয়া যায়। তবে বেশির ভাগ মানুষ গমের রুটি বানায়ে খেয়ে থাকে। বিশ্ববাজারে গমের অনেক চাহিদা। গমেত দানা মানুষের খাদ্য হিসেবে এবং গমের গাছ ও সবুজ পাতা উন্নত মানের গোখাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। হাঁস-মুরগি ও মাছের খাদ্য হিসেবেও এর যথেষ্ট গুরূত্ব রয়েছ। গম আমাদের শরীরের পক্ষে অনেক উপকারি খাদ্য উপাদান। অনেকেই বর্তমান গমের দাম সম্পর্কে জানতে চায়। আজকে আমরা জানিয়ে দিবো আজকের গমের দাম কত

আজকের গমের দাম কত

আগের তুলনায় বর্তমানে গমের দাম কিছুটা কমেছে। বর্তমান বাজারে ৫০০ গ্রাম গমের দাম ২০ থেকে ২৫ টাকা। এছাড়া প্রতি কেজি গমের দাম ৪৫ থেকে ৫০ টাকা। অনেকেই বিক্রির জন্য পাইকারি দামে গম কিনতে চায়। তবে পাইকারি দামে কিনতে হলে অবশ্যই আপনাকে বেশি পরিমাণে কিনতে হবে। ১০ কেজি গম পাইকারি মূল্য ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা। ৫০ কেজি গমের পাইকারি মূল্য ১৭০০ থেকে ২০০০ টাকা। তবে এর দাম একেক জায়গায় একেক রকম হতে পারে।

গমে রয়েছে প্রচুর পুষ্টিগুণ। কারণ প্রতি ১০০ গ্রাম গমে রয়েছে আমিষ ১২.১ গ্রাম, শর্করা ৬৯.৪ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ৪৮ মিলিগ্রাম, লৌহ ১১.৫ মিলিগ্রাম, ক্যারোটিন ২৯ মাইক্রোগ্রাম, ভিটামিন বি-১ ০.৪৯ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি-২ ০.২৯ মিলিগ্রাম, আঁশ ১.৯ গ্রাম, খনিজ পদার্থ ২.৭ গ্রাম এবং জলীয় অংশ থাকে ১২.২ গ্রাম। এছাড়াও গমে আরো অনেক গুনাগুন রয়েছে। এর পুষ্টিগুনের জন্য এর চাহিদা অনেক বেশি।


১ কেজি গমের দাম কত

বর্তমান বিশ্ববাজারে আগের তুলনায় গমের দাম কিছুটা কম। অনেকেই জানতে চায় গমের কেজি কত। চলুন জেনে নেই ১ কেজি গমের দাম কত। বর্তমান বাজারে ১ কেজি গমের দাম ৪৫ থেকে ৫০ টাকা। আগের তুলনায় ৫ টাকা কম। তবে ১ কেজি গমের পাইকারি মূল্য ৩৫-৩৭ টাকা। অনেকেই পাইকারি মূল্যে গম বেশি পরিমাণে কিনতে চায়। বর্তমান বাজারে ১০ কেজি গমের পাইকারি মূল্য ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা। ১ মণ গমের পাইকারি মূল্য ১৪০০ থেকে ১৬০০ টাকা। ১০ মণ গমের পাইকারি দাম ১৪ হাজার থেকে ১৬ হাজার টাকা। ১০০ কেজি গমের পাইকারি দাম ৩৫ হাজার থেকে ৪০ হাজার টাকা। তবে এর দাম স্থান ভেদে কম বেশি হতে পারে।

গম মানবসভ্যতার শুরুতে নগরভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থার উদ্ভবের প্রধান হেতু ছিল কারণ গম ছিল আদি শস্য উপাদানের মধ্যে একটি যে শস্য বৃহৎ পরিমানে চাষ করা যায় এবং অতিরিক্ত ফসল অনেক দিন পর্যন্ত গুদামজাত করে রাখা যায়। গম দানা একটি গুরুত্বপূর্ণ খাবার উপাদান যা গুড়ো করে তৈরি আটা নানারকম রুটিসহ অনেক রকমের খাবার তৈরি করা হয়। এছাড়া গমের খড় গৃহপালিত পশুর খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয় এবং খড়ের ছাউনির জন্য নির্মাণ সামগ্রী হিসেব ব্যবহার করা হয়। তাই বলা যায় গমের উপকারিতা অনেক।

 

গমের পাইকারি দাম কত

গমের চাহিদা অনুযায়ী বর্তমান বাজারে গমের দাম অনেকটাই কম। অনেকেই গমের পাইকারি দাম সম্পর্কে জানতে চায়। চলুন জেনে নেই গমের পাইকারি দাম। বর্তমান বাজারে ১০ কেজি গমের পাইকারি মূল্য ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা। ১ মণ গমের পাইকারি মূল্য ১৪০০ থেকে ১৬০০ টাকা। ১০ মণ গমের পাইকারি মূল্য ১৪ হাজার থেকে ১৬ হাজার টাকা। ১০০ কেজি গমের পাইকারি মূল্য ৩৫ হাজার থেকে ৪০ হাজার টাকা। এবং ৫০ মণ গমের পাইকারি মূল্য ৭০ হাজার থেকে ৮০ হাজার টাকা। তবে এর দাম একেক জায়গায় একেক রকম হতে পারে।

গম বিশ্বব্যাপী উৎপাদিত একটি ঘাস জাতীয় উদ্ভিদ যার আদি উৎপত্তি মধ্যপ্রাচ্যের লেভান্ট অঞ্চলে, কিন্তু এখন গম সারাবিশ্বে চাষ করা হয়। ২০০৭ সনে গমের বিশ্ব উৎপাদন ছিল ৬০৭ মিলিয়ন টন, যা ছিল বিশ্বের ৩য় সর্বাধিক উৎপাদিত শস্য। গম অনেক উপকারি একটি শষ্য। বাংলাদেশে অনেক পরিমাণে গম চাষ করা হয় তবে গমের চাহিদা বেশি থাকায় অন্যান্য দেশ থেকেও গম আমদানি করা হয়।


কাতিলা গমের দাম কত

শরীরের প্রয়োজনীয় শক্তি যোগাতে কাতিলা গম অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বর্তমান বাজারে ১০০ গ্রাম কাতিলা গমের দাম ১০০ থেকে ১২০ টাকা। ৫০০ গ্রাম কাতিলা গমের দাম ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা। ১ কেজি কাতিলা গমের দাম ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা। তবে এর দাম একেক জায়গায় একেক রকম হতে পারে। অন্যান্য গমের থেকে কাতিলা গমের দাম একটু বেশি।

কাতিলা গমে অনেক উপকার রয়েছে। এতে থাকে শক্তিশালী এনজাইম ও বায়ো কেমিক্যাল যা দূষিত টক্সিন , ভারী ধাতু , এমনকি রেডিয়েশন থেকেও আপনার শরীরকে রক্ষা করে। কাতিলা গমের অনেক উপকারিতা থাকায় এর চাহিদা ও দাম অন্যান্য গমের থেকে একটু বেশি।

 

বসুন্ধরা গমের ভুষির দাম কত

বর্তমানে কমেছে গমের দাম কিন্ত বেড়েছে গমের ভুসির দাম। অনেকেই জানতে চায় বসুন্ধরা গমের ভুষির দাম কত। বর্তমান বাজারে ১ বস্তা বসুন্ধরা গমের ভুষির দাম ১২০০ থেকে ১৩০০ টাকা। যা আগে ছিল ৯০০ থেকে ৯৫০ টাকা। কয়েক মাসের ব্যবদানে ১০০ থেকে ২০০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে এর দাম একেক জায়গায় একেক রকম হতে পারে।

গমের ভুসি বর্তমানে গোখাদ্য হিসেবে ব্যাপকভাবে প্রচলিত। অর্থাৎ বাংলাদেশে খৈল ভুসি হিসাবে গো খাদ্য যে প্রচলিত রয়েছে সেই সকল খইল ভুষির ভুষি, গম থেকে উৎপাদিত হয়। তাই দেখা যায় যে অনেক সময় গম থেকে ভূষিত দাম অনেকটাই বেশি।


কাতিলা গমের উপকারিতা

কাতিলা গাম দেখতে সাদা বা হালকা লালচে বর্ণের, যা দেখতে অনেকটাই তাল মিশ্রির মত। কাতিলা গম উদ্ভিদের শিকড়ের রস শুকিয়ে সংগ্রহ করা হয়, এটি স্বাদহীন, গন্ধহীন ও পলিস্যাকারাইডের পানির দ্রবণীয় মিশ্রন এনং পানিতে ভিজিয়ে রাখলে নরম হয়ে ফুলে উঠে। কাতিলা গাম হ্যান্ড লোশন, টুথপেস্ট, দাঁতের চিকিৎসায়, বিভিন্ন জেলি তৈরিতে ব্যবহার করা হয়, এছাড়াও সালাদ ড্রেসিং, খাবার ও পানীয় প্রস্তুত করতে ব্যবহার করা হয়। অনেকেই কাতিলা গমের উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চায়। চলুন জেনে নেই কাতিলা গমের  উপকারিতা।

উপকারিতাঃ

    কাতিলা গাম (Tragacanth Gum) যাকে কাতিরা গামও বলা হয়। এটা শরীরে খুবই শীতল প্রভাব ফেলে। এটি সাদা বা হালকা লাল বর্ণের একটি শক্ত আঠা যা পানিতে কয়েক ঘন্টা ভিজিয়ে রাখলে নরম হয়ে ফুলে উঠে। গ্রীষ্মের সময় এটি খাওয়া শরীরের জন্য খুবই দরকারি।

    এটা শরীরে গঠিত তাপ শীতল করে দেয়। এগুলো ছাড়াও এটা প্রোটিন এবং ফলিক অ্যাসিডের একটি ভাল উৎস হিসেবে কাজ করে যা দেহের স্বাস্থ্য-পরিস্থিতি ভালো রাখে।

    গ্রীষ্মকালীন সময়ে কাতিলা গাম এমন লোকদের হিট স্ট্রোক রোধ করতে পারে যারা গরম আবহাওয়ায় বাইরে থাকতে পারেন না। তাই গরম যাদের সহ্য হয়না তাদের নিয়মিত কাতিলা গাম খাওয়া উচিত।

    গন্ড কাটিরা একটি আশ্চর্যজনক রেচনকৃত অর্থাৎ এটি অন্ত্রের আন্দোলনকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য উৎসাহিত করতে পারে। যদি আপনি ঘন ঘন কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যার সম্মুখ্যীন হন তবে প্রতিদিন অবশ্যই কাতিলা গাম খাওয়ার চেষ্টা করুন।

    এতে উচ্চ পুষ্টিগুণ ও মান রয়েছে। এই কারণেই এটি গর্ভাবস্থায় ব্যবহার করা যেতে পারে। কারণ, কোনও প্রসূতি মা এবং তার শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য আরও ভাল পুষ্টি প্রয়োজন যা কাতিলা গাম পূরণ করতে সক্ষম।

    কিছু লোকের মধ্যে একটি সাধারণ সমস্যা হলো হাত পা জ্বালাপোড়া করা। এটা হাত ও পায়ে জ্বলন্ত সংবেদনকে উন্নত করে অর্থাৎ হাত-পায়ের জ্বালাপোড়া কমিয়ে দেয়।

    কাতিলা গাম হলো ফাইবার সমৃদ্ধ এবং দেহের বিপাক বাড়ানোর বৈশিষ্ট্যযুক্ত একটি উপাদেয়। উচ্চ ফাইবারের কারণে তৃপ্তি এবং ক্ষুধা যন্ত্রণা কম অনুভূত হয়ে থাকে। এছাড়াও এর আরো অনেক উপকারিতা রয়েছে।


    কাতিলা গমের অপকারিতা

    আমরা অনেকেই কাতিলা গম খেয়ে থাকি। তবে সব কিছু নিয়ম মেনে খাওয়া ভালো। কোনো কিছুই অতিরিক্ত খাওয়া ঠিক না। কাতিলা গমের যেমন উপকারিতা রয়েছে তেমন কিছু অপকারিতা রয়েছে। চলুন জেনে নেই কাতিলা গমের অপকারিতা।

    অপকারিতাঃ

    কাতিলা গাম আঠা বা জেল জাতীয় পদার্থ। কাতিলা কোন ঔষধের সাথে সেবন করলে তা পেটে ও অন্ত্রে ওষুধের সাথে লেগে থাকতে পারে।
    মুখের মাধ্যমে যে সকল ওষুধ সেবন করেন তার সাথে একই সময়ে কাতিলা সেবন করলে শরীর ওষুধ শোষণ হ্রাস করতে পারে এবং ওষুধের কার্যকারিতা নষ্ট হতে পারে। যেকারণে, মুখে খাওয়ার ওষুধের অন্তত এক ঘন্টা পরে কাতিলা গাম খাবেন।
    কাতিলা গাম প্রচুর পরিমাণ পানির সাথে মিশিয়ে খাবেন, যদি পর্যাপ্ত পানি পান না করেন এটি আপনার অন্ত্রকে ব্লক করতে পারে।
    কাতিলা গাম আঠা জাতীয় পদার্থ, পানিতে ভিজিয়ে রাখলে ফুলে ওঠে। একারণে পর্যাপ্ত সময় পানিতে ভিজিয়ে রাখা প্রয়োজন। যদি অল্প সময় পানিতে ভিজিয়ে খেয়ে ফেলেন, তবে পেটে গিয়ে ফুলে উঠবে এবং অন্য খাদ্যকণাকে আটকে ধরবে সহজেই।
    কাতিলা খালি পেটে খেতে পরামর্শ দেয়া হয়, এক্ষেত্রে ভুল বশত পানিতে ভালভাবে না মিশিয়ে খেলে হজম সমস্যা থেকে শুরু করে নানান জটিলতা দেখা দিতে পারে।

    আশা করি আপনারা আমাদের এই পোস্ট থেকে গমের দাম, কাতিলা গমের দাম, কাতিলা গমের উপকারিতা, কাতিলা গমের অপকারিতা এবং আরো অনেক কিছু জানতে পেড়েছেন। আমাদেরে এই পোস্টটে গম সম্পর্কে বিস্তারিত দেওয়া আছে। আশা করি আমাদের এই পোস্টটি আপনাদের ভালো লেগেছে। পুড়ো পোস্টটি ধৈর্য ধরে সম্পূর্ণ পড়ার জন্য ধন্যবাদ। 

    F.A.Q

    এক মেট্রিক টন গমের দাম কত

    এক মেট্রিক টন = ১০০০ কেজি তাহলে এক মেট্রিক টন গমের দাম ৪৫ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা।

    একই ধরনের পোস্ট

    ×