ড্রাগন ফলের দাম কত | ড্রাগন ফল কত টাকা কেজি

ড্রাগন ফলের দাম কত | ড্রাগন ফল কত টাকা কেজি ২০২৪

Last Updated:5 months ago

আশা করি সকলে ভালো আছেন। আজকে আমরা ড্রাগন ফলের দাম কত টাকা কেজি এই সম্পর্কে আলোচনা করবো। ড্রাগন ফল অনেক সুস্বাদু পুষ্টিকর একটি ফল। ড্রাগন ফল বর্তমানে সবার কাছে খুব পরিচিত একটি ফল। গ্রামের অনেক মানুষের কাছে ড্রাগন ফল এখনো অচেনা ফল হিসেবে রয়েছে। তবে বর্তমানে বাংলাদেশে অনেক মানুষ ড্রাগন ফল চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করছেন। বর্তমানে শুধু বাইরের দেশ গুলোতে নয় বাংলাদেশেও ড্রাগন ফলের অনেক জনপ্রিয়তা রয়েছে। ড্রাগন ফলে অনেক ভিটামিন এবং অনেক পুষ্টি থাকায় বর্তমানে ড্রাগন ফলের চাহিদা অনেক বেশি। অনেকেই এই ড্রাগন ফলের দাম সম্পর্কে জানতে চায়। আজকে আমরা ড্রাগন ফলের দাম কত তা জানিয়ে দিবো।

ড্রাগন ফলের দাম কত

ড্রাগল ফলের দাম সাধারণত তার মানের উপর নির্ভর করে। যতো ভালো কোয়ালিটি ততো দাম বেশি। তাছাড়া বাংলাদেশের ড্রাগন ফলের উৎপাদন খুবই কম। বেশির ভাগই দেশের বাইরে থেকে ড্রাগন ফল আমদানি করতে হয়। যার কারণে এই ফলটির দাম অনেক বেশি। বর্তমান বাজারে সাধারণ কোয়ালিটির ড্রাগন ফলের দাম ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা । এবং ভালো কোয়ালিটির ড্রাগন ফলের দাম ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা। তবে এর দাম একেক জায়গায় একেক রকম হতে পারে।


ড্রাগন ফল কত টাকা কেজি

ড্রাগন ফল কম বেশি সকলের কাছে পরিচিত। ড্রাগন ফল অনেক পুষ্টি গুনাগুন সম্পূর্ণ অনেক উপকারি একটি ফল যা শরীরের পক্ষে অনেক উপকারি। আগে বাংলাদেশে ড্রাগন ফলের পরিচিতি এতোটা ছিলো না কিন্ত বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় সকলেই ড্রাগন ফল সম্পর্কে জানে। যেহেতু আস্তে আস্তে ফলটির পরিচিতি সবার কাছে বেড়ে চলেছে তাই অনেকেই এই ফলটি কিনতে চাই। কিন্তু ড্রাগন ফল কেনার আগে আপনি যদি সঠিক দাম না জেনে ফলটি বাজার থেকে কিনতে চান অনেক সময় দাম না জানার কারণে আপনাকে বেশি টাকা দিয়ে ফল কিনতে হতে পারে। তাই ড্রাগন ফল কেনার আগে দাম সম্পর্কে জেনে নেওয়া দরকার। অনেকেই জানতে চায় ড্রাগন ফল কতো টাকা কেজি। চলুন জেনে নেই ড্রাগন ফল কত টাকা কেজি।

বর্তমান বাজারে ভালো কোয়ালিটির ১ কেজি ড্রাগন ফলের দাম ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা। এবং সাধারণ কোয়ালিটির ১ কেজি ড্রাগন ফলের দাম ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা কেজি। তবে স্থান ভেদে এর দাম কম বেশি হতে পারে।

 

ড্রাগন ফল গাছের দাম কত

ড্রাগন ফল বর্তমানে অনেকের কাছে নতুন একটি ফল। তবে আগের তুলনায় বর্তমানে বাংলাদেশে ড্রাগন ফল অনেক জনপ্রিয়াতা পেয়েছে। দিন দিন জনপ্রিয়তা বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশে অনেক জায়গায় ড্রাগল ফলের চাষ হচ্ছে। ড্রাগন দেখতে অনেক সুন্দর এবং খেতেও অনেক চমৎকার। ড্রাগন ফল বিভিন্ন রঙের বিভিন্ন জাতের হয়ে থাকে। যেমন লাল,হলুদ,গোলাপি সাদা রঙের হয়ে থাকে। বর্তমানে এর চাহিদা বেশি থাকায় অনেকেই ড্রাগন ফল চাষ করতে চায়। অনেকেই ড্রাগন ফলের চারার দাম জানতে চায়। চলুন জেনে নেই ড্রাগন ফল গাছের দাম।

বর্তমান বাজারে অন্যান্য ড্রাগন ফল গাছের চেয়ে হলুদ ড্রাগন ফল গাছের দাম অনেক বেশি। বর্তমানে বাংলাদেশে লাল,সাদা, গোলাপি ড্রাগন ফল গাছের দাম ৯০ থেকে ১০০ টাকা। এবং হলুদ ড্রাগন ফল গাছের দাম ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা।


ড্রাগন ফল চাষ পদ্ধতি

ড্রাগন ফল সাধারণত আমেরিকার প্রসিদ্ধ একটি ফল যা বর্তমানে বাংলাদেশেও অনেক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। বাংলাদেশে সর্বপ্রথম ২০০৭ সালে থাইল্যান্ড, ফ্লোরিডা ও ভিয়েতনাম থেকে এই ফলের বিভিন্ন জাত আনা হয়। ড্রাগন ফলের গাছ এক ধরনের ক্যাকটাস জাতীয় গাছ। এই গাছের কোন পাতা নেই। ড্রাগন ফলের গাছ সাধারনত ১.৫ থেকে ২.৫ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। অনেকেই জানতে চায় ড্রাগন ফল কিভাবে চাষ করে। আজকে আমরা এই পোস্টের মাধ্যমে জানিয়ে দিবো ড্রাগন ফল চাষ পদ্ধতি।

প্রথমে একটি গর্ত তৈরি করতে হবে। গর্ত তৈরির ২০-২৫ দিন পর প্রতি গর্তে ২৫-৩০ কেজি পচা গোবর , ২৫০ গ্রাম টিএসপি, ২৫০ গ্রাম এমওপি, ১৫০ গ্রাম জিপসাম এবং ৫০ গ্রাম জিংক সালফেট সার গর্তের মাটির সাথে ভালো করে মিশিয়ে গর্ত ভরাট করে দিতে হবে। প্রয়োজনে সেচ দিতে হবে। গর্ত ভরাটের ১০-১৫ দিন পর প্রতি গর্তে ৫০ সেমি দূরত্বে ৪ টি করে চারা সোজাভাবে মাঝখানে লাগাতে হবে।


ড্রাগন ফল কাটার নিয়ম

ড্রাগন ফল অনেক পুষ্টিগুন সমৃদ্ধ একটি ফল। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন রয়েছে। ড্রাগন ফলের চামড়া, উজ্জ্বল লাল রঙ এটি বাকি ফলের থেকে অনেক বেশি সুন্দর দেখায়। ড্রাগন ফল খেতে টক এবং মিষ্টি হয়। এটি ক্যাকটাস পরিবারের অংশ এবং এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, ভিটামিন সি এবং ভিটামিন বি রয়েছে। এটি কাটার এবং খাওয়ার পদ্ধতি রয়েছে। চলুন জেনে নেই ড্রাগন কাটার নিয়ম।প্রথমে একটি ড্রাগন ফল নিয়ে ভালো ভাবে ধুয়ে নিন। তার পর এটি আপেলের মতো দুই ভাগে কেটে নিন। তারপর উপরের খোসা ফেলে আবার ভালোভাবে ধুয়ে নিন।


ড্রাগন ফল খাওয়ার নিয়ম

ড্রাগন ফল গ্রীষ্মকালীন একটা ফল যা সম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কয়েক বছর আগেও বাংলাদেশে এই ফলের খুব একটা পরিচিত ছিল না।তবে বর্তমানে বাংলাদেশে বিভিন্ন জায়গায় এই ফলের চাষ হয়। গবেষণা করে দেখা গেছে এই ফলটির শুধু স্বাদ নয় এটি স্বাস্থ্যর জন্য অনেক উপকারি। তবে এই ড্রাগন খাওয়ার নিয়ম রয়েছে। চলুন জেনে নেই ড্রাগন ফল খাওয়ার নিয়ম।

খাওয়ার যোগ্য বা পাকা একটি ফল নিন।ছুরি কিংবা বটি দিয়ে ফলটি সোজা অর্ধেক করে কেটে নিনএবার একটি চামচ দিয়ে ফলের চামড়া থেকে ফলের নরম অংশ উঠিয়ে খেতে পারেন বা পাকা কাটা আমের মত খোসা ছাড়িয়ে ভেতরের নরম অংশ ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিতে পারেন।


ড্রাগন ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা

যারা ড্রাগন ফল খেয়ে থাকে তাদের মধ্যে কম বেশি সকলেরই ড্রাগন ফলের উপকারিতা এবং অপকারিতা সম্পর্কে জানার আগ্রহ থাকে। ড্রাগন ফলের অনেক উপকারিত রয়েছে এটি খেতে অনেক সুস্বাদু এবং সাস্থ্য উপকারি। ড্রাগন ফলের উপকারের পাশাপাশি অপকারিতাও রয়েছে।অনেকেই জানতে চায় ড্রাগন ফলএর কি কি উপকারিতা এবং অপকারিতা রয়েছে। চলুন জেনে নেই ড্রাগন ফলের উপকারিতা ও অপকারিতাঃ

উপকারিতাঃ

  1. ড্রাগন ফল হার্টকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।ড্রাগন ফল হার্টকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। কেননা এই ফলটির মধ্যে রয়েছে আশ্চর্যজনক শক্তি। যা মানুষের রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রাকে কমাতে। এবং ভালো কলেস্টরলের মাত্রকে বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। হার্টকে ভালো অবস্থায় রাখতে মনোস্যাচুয়েটেড সাহায্য করে। আর মনোস্যাচুয়েটেড এর উপাদান সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায় এই ড্রাগন ফলের মধ্যে।
  2. ড্রাগন ফল ওজন কমাতে আদর্শ খাবার।ড্রাগন ফল আপনার ওজন কমাতে আদর্শ খাবার। কেননা ড্রাগন ফলের মধ্যে ফ্যাটের পরিমাণ নাই বললেই চলে। আর ড্রাগন ফল আপনার শরীরের সঠিক ওজন বাড়াতে সাহায্য করে।
  3. ড্রাগন ফল হজম শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।ড্রাগন ফল আপনার হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে, তার সাথে সাথে পাকস্থলীর প্রক্রিয়া পরিষ্কার করতেও সহায়ক। ড্রাগন ফলের মধ্যে আছে ফাইবার যা হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি দেয়।
  4. ড্রাগন ফল ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।ড্রাগন ফল আমাদের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। ড্রাগন ফলের মধ্যে আছে ফাইবার। যা আপনার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। ড্রাগন ফল রক্তের শর্করার মাত্রা কমা করতে এবং চিনির মাত্রা স্থিতিশীল করতে সাহায্য করে। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নিয়মিত ড্রাগন ফল খান।
  5. ড্রাগন ফল ক্যান্সার প্রতিশোধক হিসেবেও কাজ করে।ড্রাগন ফল ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। কেননা ড্রাগন ফলের মধ্যে আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা আপনাকে ক্যান্সার উৎপাদনকারী কোষগুলিকে ধ্বংস করতে সাহায্য করে। ড্রাগন ফলের মধ্যে ৯০% অ্যান্টি অক্সিডেন্ট আছে।
  6. ড্রাগন ফল কিডনিকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।বেগুনি ড্রাগন ফলের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম আছে। আর পটাশিয়াম কিডনিকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও কিডনিতে পাথর জমতে বাধা দেয়। তাই কিডনিকে সুস্থ রাখতে হলে বেগুনি ড্রাগন ফল নিয়মিত খান।
  7. চোখের দৃষ্টি শক্তি উন্নতি করতে সাহায্য করে ড্রাগন ফল।আমাদের চোখের দৃষ্টিশক্তি উন্নতি করতে বেগুনি ড্রাগন ফল চমৎকারভাবে সাহায্য করে। কেননা বেগুনি ড্রাগন ফলে প্রচুর পরিমাণে বিটা ক্যারোটিন থাকে। একটি গাজরের মধ্যে যে সকল ভিটামিন আছে‌। তাই একটা বেগুনি ড্রাগন ফলের মধ্যে থাকে। আর আপনি গাজর খেতে যদি পছন্দ না করেন, তাহলে বেগুনি ড্রাগন ফল খেতে পারেন।

অপকারিতাঃ

অতিরিক্ত পরিমাণে ড্রাগন ফল ডায়রিয়ার সমস্যা হতে পারেঃএই ফলটি আমাদের পাচক সিস্টেম ভালো রাখে এবং পেটে ব্যথা, অন্ত্রের সমস্যা থেকে মুক্ত দেয়। তবে অতিরিক্ত ফাইবার আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য আবার ক্ষতিকারক। যদি পর্যাপ্ত পরিমাণ জল না খেয়ে আমরা এই ফল অতিরিক্ত গ্রহণ করি তাহলে ডায়রিয়া এবং কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। অতিরিক্ত মাত্রায় ড্রাগন ফল খেলে এলার্জি হতে পারে।অতিরিক্ত মাত্রায় ড্রাগন ফল খেলে ডায়রিয়াও হতে পারে।


আশা করি আমাদের এই পোস্টে আপনারা ড্রাগন ফলের দাম, ড্রাগন ফল খাওয়ার নিয়ম, ড্রাগন উপকারিতা ও অপকারিতা এবং আরো অনেক কিছু জানতে পেড়েছেন। আমাদের এই পোস্টে ড্রাগন ফল সম্পর্কে বিস্তারিত দেওয়া আছে। আশা করি আমাদের এই পোস্টটি আপনাদের ভালো লেগেছে। পুড়ো পোস্টটি ধৈর্য ধরে সম্পূর্ণ পড়ার জন্য ধন্যবাদ।



একই ধরনের পোস্ট

×