কিসমিস এর দাম কত ২০২৪
আশা করি সকলে ভালো আছেন। আজকে আমরা কিসমিস সম্পর্কে আলোচনা করবো। কিসমিস অনেক উপকারি এবং সুস্বাদু একটি খাবার। কিসমিস পুষ্টিগুনে ভরপুর। রোদে শুকোনো আঙুর আজ সারা বিশ্বে ছোট থেকে বড় সবার কাছে সমানভাবে সমাদৃত তার মিষ্টতার জন্য। রান্না ছাড়াও আরও নানা ব্যবহার আছে কিসমিসের, যেমন ধরুন স্বাস্থ্যকর পানীয় বানাতে অথবা পর্বতারোহীদের জন্য শক্তিদায়ী নানা খাদ্যোপকরণ তৈরিতে কাজে লাগে এই প্রকৃতিক উপাদানটি। সুমিষ্ট স্বাদ ছাড়াও কিসমিস আরও নানা গুণে সমৃদ্ধ। অনেকেই কিসমিস এর দাম সম্পর্কে জানতে চায়। আজকে আমরা জানিয়ে দিবো কিসমিস এর দাম কত।
কিসমিস এর দাম কত
কিসমিস এর উপকার রয়েছে। বর্তমানে কিসমিস এর অনেক চাহিদা। অন্যান্য পুষ্টিগুন উপাদানের থেকে কিসমিস এর দাম অনেকটা কম। তাই এর চাহিদা অনেক বেশি। বর্তমান বাজারে ১০০ গ্রাম কিসমিস এর দাম ৫০-৬০ টাকা। এবং প্রতি কেজি কিসমিস এর দাম ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা। তবে এর দাম একেক জায়গায় একেক রকম হতে পারে।
১ কেজি কিসমিসের দাম কত
কিসমিসের অনেক উপাকারি গুন থাকায় এটির চাহিদা অনেক। কিসমিস শরীরের অনেক উপকার করে।বাংলাদেশে প্রচুর পরিমানে কিসমিস উৎপাদন করা হয়। বাংলাদেশে কিসমিস উৎপাদন হওয়ার ফলে বাংলাদেশে কিসমিস এর দাম অনেকটা কম। কিসমিস অনেক রান্নার কাজেও ব্যবহার করা হয়। অনেকেই জানতে চায় কিসমিস কত টাকা কেজি। চলুন জেনে নেই ১ কেজি কিসমিসের দাম কত।
আগের তুলনায় বর্তমানে বাংলাদেশে কিস মিস এর দাম কিছুটা বেশি। বর্তমান বাজারে সাধারণ কোয়ালিটির ১ কেজি কিসমিস এর দাম ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা। এবং ভালো কোয়ালিটির ১ কেজি কিসমিস এর দাম ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা। তবে এর দাম একেক জায়গায় একেক রকম হয়ে থাকে।
কালো কিসমিসের দাম কত
কিসমিস অনেক উপকারি একটি খাবার। কিসমিস অনেক রান্নার সাথে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। বেশির ভাগ সময় মিষ্টি খাবারে কিসমিস বেশি ব্যবহৃত হয়। তবে এটা শুধু খাবারের স্বাদই বাড়ায় না, এর আছে অনেক পুষ্টিগুণ। কিসমিসে পর্যাপ্ত পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম ও পটাশিয়াম আছে। এগুলো অ্যাসিডিটি কমায়, কিডনির পাথর দূর করে ও হৃদরোগর ঝুঁকি কমায়।জ্বর, ঠাণ্ডা ও অন্য সংক্রামক রোগ থেকে সুরক্ষা দেয়। অনেকেই কালো কিসমিস এর দাম কত জানতে চায়। চলুন জেনে নেই কালো কিসমিসের দাম।
বর্তমান বাজারে ১০০ গ্রাম কালো কিসমিসের দাম ১০০-১২০ টাকা। এছাড়া ৫০০ গ্রাম কালো কিসমিসের দাম ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা। এবং ১ কেজি কালো কিসমিসএর দাম ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা।তবে স্থান ভেদে এর দাম কমবেশি হতে পারে।
১০০ গ্রাম কিসমিসের দাম কত
কিসমিস অনেক উপকারি এবং সুস্বাদু একটি খাবার। কিসমিস পুষ্টিগুনে ভরপুর। কিসমিস আঙূর শুকিয়ে বানানো হয়। রোদে শুকোনো আঙুর আজ সারা বিশ্বে ছোট থেকে বড় সবার কাছে সমানভাবে সমাদৃত তার মিষ্টতার জন্য। রান্না ছাড়াও আরও নানা ব্যবহার আছে কিসমিসের, যেমন ধরুন স্বাস্থ্যকর পানীয় বানাতে অথবা পর্বতারোহীদের জন্য শক্তিদায়ী নানা খাদ্যোপকরণ তৈরিতে কাজে লাগে এই প্রকৃতিক উপাদানটি। সুমিষ্ট স্বাদ ছাড়াও কিসমিস আরও নানা গুণে সমৃদ্ধ। অনেকেই জানতে চায় ১০০ গ্রাম কিসমিস এর দাম। আজকে আমরা জানিয়ে দিবো ১০০ গ্রাম কিসমিস এর দাম কত।
বর্তমান বাজারে সাধারণ ১০০ গ্রাম কিসমিস এর দাম ৫০-৬০ টাকা। সাধারণ কোয়ালিটির ১ কেজি কিসমিস এর দাম ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা। ভালো কোয়ালিটির ১০০ গ্রাম কালো কিসমিস এর দাম ১০০-১২০ টাকা। এবং ১ কেজি কালো কিসমিস এর দাম ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা।
কিসমিস খাওয়ার নিয়ম
কিসমিস মূলত শুকনো আঙূর। এটি বাংলাদেশ, ইরাক, ইরান,পাকিস্তান,ভারতে উৎপাদিত এই মিষ্টি খাবারটি এক কথায় পুষ্টির আধার। ভিটামিন, মিনারেলস, ফাইবার, নিউট্রিয়েন্টস, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস, আয়রন, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়ামে ভরপুর কিসমিস দেহ নিরোগ রাখতে অতুলনীয়। অনেকেই কিসমিস খাওয়ার সঠিক নিয়ম না জেনে কিসমিস খেয়ে থাকে। চলুন জেনে নেই কিসমিস খাওয়ার সঠিক নিয়ম।
শুকনো কিসমিস খাওয়ার চাইতে ভেজানো কিসমিস খাওয়া শরীরের জন্য উপকারী। তাই বলে শুকনো অবস্থায় একেবারে যে খাওয়া যাবে না তা কিন্তু না। বাজার থেকে কিনে এনে ভালো করে ধুয়ে ৫-৬টি কিসমিস খেতে পারবেন নিশ্চিন্তে। প্রতিবার খাওয়ার আগে অবশ্যই ধুয়ে নিবেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, কিসমিসের পুষ্টিগুণ ষোল আনা পেতে চাইলে সারারাত ভিজিয়ে রেখে খাওয়া উচিত। ১ কাপ জলে ৮-১০ টি কিসমিস ভালো করে ধুয়ে সারারাত ভিজিয়ে রাখুন। বেশিক্ষণ ভিজিয়ে রাখলে এর রং অনেক গাঢ় দেখাবে। যত গাঢ় হবে তত ভালো পুষ্টি উপাদান কাজ করবে। সকালে খালি পেটে ভেজানো কিসমিসগুলো খাবেন।
কিসমিসের জলটা কিন্তু ফেলবেন না৷ সারারাত ভিজিয়ে রাখার ফলে জলেও কিসমিসের বেশ কিছু পুষ্টিগুণ মিশে গেছে। জলটা হালকা আঁচে একটু গরম করে খালি পেটে খেয়ে নিন। কিসমিস ও এর জল খাওয়ার আধা ঘন্টা পরে অন্য খাবার খাবেন।
কিসমিস এর উপকারিতা
কিসমিস এর অনেক উপকারিতা রয়েছে। কিসমিস এর উপকারিতা এক কথায় বলে শেষ করা যাবে না। কিসমিস মানব দেহে অনেক উপকার করে। কিসমিস শরীরে শক্তি যোগায় এবং রক্ত উপাদানে সহায়তা করে। এমনকি কিসমিস ভেজা পানিও শরীরের পক্ষে অনেক উপকারি। এছাড়াও কিসমিসে অনেক উপকার রয়েছে। চলুন জেনে নেই কিসমিস এর উপকারিতা।
১. কোষ্ঠকাঠিন্যের উপশমঃ কিসমিস একটি ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার। এটি শরীরের পরিপাক ক্রিয়া দ্রুততর করে। ফলে খাবার সহজে হজম হয় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য হয় না।
২. নিরাপদ ওজন বৃদ্ধিঃ কাজেই নিরাপদ ভাবে ওজন বৃদ্ধি করতে চাইলে কিসমিস খেতে হবে।
৩. ক্যান্সার নিরাময়ঃ এতে আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান ও ক্যাটেচিন নামক একটি পলিফেনলিক অ্যাসিড। এগুলো শরীরে ক্যান্সার সৃষ্টিকারী ফ্রি র্যাডিকেলগুলো ধ্বংস করে এবং ক্যান্সারের কোষগুলো উৎপাদন হওয়া আটকায়। আবারে কিসমিসে বিদ্যমান আঁশ কোলোরেক্টারাল ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।
৪. রক্তচাপ ও রক্তস্বল্পতা নিয়ন্ত্রণঃ শরীরে যখন সোডিয়ামের মাত্রা বেড়ে যায় তখন ব্লাড প্রেসার হাই হয়ে যায়। কিসমিসে থাকা পটাশিয়াম সোডিয়ামের মাত্রা কমিয়ে এনে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। আবার এতে আছে আয়রন, কপার, এবং ভিটামিন বি-এর অন্তর্গত কিছু ভিটামিন। এই উপাদানগুলো নতুন রক্ত তৈরি এবং রক্তের লোহিত কণিকা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
৫. রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি ভিটামিন ও মিনারেলের পাশাপাশি কিসমিসে আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস এবং পলিফেনলসের মতো পুষ্টি উপাদান।
৬. হাড়ের বৃদ্ধিঃ একদিকে কিসমিসে ক্যালসিয়ামের কমতি নেই, অন্যদিকে এতে আছে বোরন নামক এক ধরণের মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট। দুয়ে মিলে হাড়ের বৃদ্ধি ও সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করে। বোরন শরীরকে ক্যালসিয়াম দ্রুত শুষে নিতে সাহায্য করে। এই মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট শরীরে খুব অল্প পরিমাণে থাকে কিন্তু এটি অস্টিওপরোসিস ও বাতের ব্যথা প্রতিরোধ এবং হাড়ের জয়েন্ট ঠিক রাখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
৭. মস্তিষ্কের উন্নতি ও প্রশান্তিঃ এতে থাকা বোরন যেমন হাড়ের সুগঠন করে তেমনি মনোযোগ বাড়ায়। বাড়ন্ত শিশুদের ব্রেইন ডেভলপমেন্টের সময় কিসমিস খেতে দেয়া উচিত। এতে তাদের পড়াশোনায় মনোযোগ বাড়বে। এছাড়াও কিসমিসে যে আয়রন রয়েছে তা মস্তিষ্কে প্রশান্তি আনে, মানসিক চাপ কমায়, অবসাদগ্রস্ততা কমায়, এবং মনমেজাজ প্রফুল্ল রাখে। শুধু তাই নয়, ঘুমের সমস্যা কাটাতে কিসমিস জাদুর মতো কাজ করে।
৮. ডায়বেটিস ও ওবেসিটি প্রতিরোধঃ লাঞ্চ বা ডিনারের পরে শরীরে ইনসুলিনের যে ফ্লাকচুয়েশন হয়, কিসমিস খেলে সেটা প্রতিরোধ করা সম্ভব। ইনসুলিন নিয়ন্ত্রণে থাকে বলে ডায়বেটিস হওয়ার আশঙ্কাও থাকে না। এটি শরীরে লেপটিন এবং ঘ্রেলিন নামক দুটি হরমোন রিলিজ করতে সাহায্য করে। এই হরমোনগুলো শরীরে সিগনাল পাঠায় খাওয়ার রুটিন ও পরিমাণ সম্পর্কে। ফলে যখন তখন ইচ্ছামতো খাওয়ার তাগিদ থাকে না এবং ওজন বাড়ে না। তবে আপনার আগে থেকে ডায়বেটিস থাকলে ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কিসমিস খাবেন না। কারণ এর ন্যাচারাল সুগার ডায়বেটিস মাত্রা ছাড়া করে তুলতে পারে।
৯. দাঁত ও মাড়ির সুরক্ষাঃ ক্যালসিয়াম এবং অলিওনেলিক অ্যাসিডে পরিপূর্ণ কিসমিস দাঁত শক্ত ও সুগঠিত করে, এনামেল গঠন করে, দাঁতের ক্ষয় ও ভঙ্গুরতা রোধ করে।
কিসমিস খাওয়ার অপকারিতা
কিসমিস খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে। প্রত্যেকটা ভালো জিনিসের যেমন ভালো দিক আছে তেমন কিছু খারাপ দিকও রয়েছে। কিসমিস এর উপকারিতার পাশাপাশি কিছু অপকারিতাও রয়েছে। চলু জেনে নেই কিসমিস খাওয়ার অপকারিতা।
শারীরিক উপকারের পাশাপাশি কিসমিস খাওয়ার কিছু অপকারিতাও রয়েছে। এটি অত্যধিক পরিমাণে সেবন করলে নিম্নলিখিত সমস্যা হতে পারে, যেমন-শরীরের ওজন বৃদ্ধি, এলার্জি, ডায়রিয়া এবং গ্যাস, টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি ইত্যাদি।
এছাড়াও মনে রাখবেন যে যদি এটি নিয়মিত সেবনের কারণে অ্যালার্জির মতো উপসর্গ দেখা যায়, তাহলে অবিলম্বে এটি খাওয়া বন্ধ করুন এবং আপনার ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন। ডায়াবেটিস রোগীদের কিসমিস খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
প্রকৃতি থেকে সরাসরি প্রাপ্ত প্রতিটি জিনিস আমাদের জন্য উপকারী হবে যদি আমরা সঠিক নিয়ম মেনে তা গ্রহণ করতে পারি। তাই এখানে উল্লেখিত কিসমিস এর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পূর্ণ জেনে এবং নিয়মগুলো মেনেই এটি গ্রহণ করুণ।
প্রতিদিন কতটুকু কিসমিস খাওয়া উচিত
অনেকেই কিসমিস খেয়ে থাকে কিন্ত অনেকেই কিসমিস খাওয়ার নিয়ম জানে না। কিসমিস এর যেমন উপকার রয়েছে তেমন অপকারও রয়েছে। প্রত্যেকটা জিনিসের একটা নিয়ম রয়েছে। কিসমিস কেউ যদি অতিরিক্ত খায় তাহলে উপকারের পরিবর্তে অপকার হতে পারে। কিসমিস প্রতিদিন পরিমান মতো খাওয়া উচিত। চলুন জেনে নেই প্রতিদিন কতটুকু কিসমিস খাওয়া উচিত।
কিসমিসে অনেক পুষ্টি রয়েছে। কিসমিসে ফাইবার, প্রোটিন, আয়রন, পটাসিয়াম, কপার এবং ভিটামিন বি৬ ইত্যাদি পুষ্টি উপাদান রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সারারাত পানিতে ভিজিয়ে সকালে এটি খেলে অনেক উপকার মেলে। তবে তা খেতে হবে পরিমিত। পুষ্টিবিদদের মতে, দিনে ৪০ থেকে ৫০ গ্রাম কিসমিস খাওয়া যায়।