কাটারিভোগ চালের দাম কত ২০২৪
আসসালামু আলাইকুম আশা করি সকলে ভালো আছেন। আজকে আমরা কাটারিভোগ চালের দাম এবং এর উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করবো। কাটারি ভোগ চাউল সাধারণত কমবেশি অনেকেই কিনে থাকেন তাই এই চালের চাহিদা বাজারে ব্যাপক হারে। তাই অনেকেই রয়েছেন এই চালের সঠিক দাম না জানার কারণে বেশি দাম দিয়ে বাজার থেকে এই চাউলটি সংগ্রহ করছেন। মূলত এই আধুনিক যুগে এসে যে কোন জিনিসের দাম জানাটা অতি সহজ হয়ে গিয়েছে। আপনি বর্তমানে ঘরে বসে যে কোন চাউলের দাম জেনে নিতে পারবেন।
কাটারিভোগ চালের দাম কত
বর্তমানে বাংলাদেশে কাটারিভোগ চালের দাম প্রতি কেজিতে প্রায় ১০ থেকে ১৫ টাকা বাড়ানো হয়েছে। বর্তমানে প্রতি কেজি কাটারিভোগ চালের দাম ৬০ থেকে ৬৫ টাকা। এই চাল আগে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা কেজি পাওয়া যেতো। এছাড়া কাটারিভোগ চালের ২৫ কেজির বস্তার দাম ১৫০০ থেকে ১৬০০ টাকা। এবং কাটারিভোগ চাল ৫০ কেজি বস্তার দাম ৩০০০ থেকে ৩৫০০ টাকা। তবে এই কাটারিভোগ চাল পাইকারি দামে কিনলে কিছুটা কম দামে কেনা যায় এবং এর দাম একেক জায়গায় একেক রকম হয়ে থাকে।
তীর কাটারিভোগ চালের দাম কত
কাটারিভোগ চাল বর্তমানে এই চালের চাহিদা অনেক। অনেকেই এই চাল খেয়ে থাকে। সাধারণত কাটারিভোগ চালের বিভিন্ন কোয়ালিটি হয়ে থাকে এবং বাংলাদেশে কাটারিভোগ চাল উৎপাদনকারি কিছু কোম্পানি রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে তীর কোম্পানি। অনেকেই জানতে চায় তীর কাটারিভোগ চালের দাম কত। চলুন জেনে নেই তীর কাটারিভোগ চালের দাম।
অন্যান্য চালের দামের তুলনায় তীর কাটারিভোগ চালের দাম কিছুটা বেশি হয়ে থাকে। বর্তমান বাজারে প্রতি কেজি তীর কাটারিভোগ চালের দাম ১০০ থেকে ১২০ টাকা। তবে এর দাম আগে কিছুটা কম ছিলো। এছাড়া ১০ কেজি তীর কাটারিভোগ চালের দাম ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা। তীর কাটারিভোগ চাল ২৫ কেজির দাম ২৫০০ থেকে ৩০০০ টাকা এবং কাটারিভোগ চাল ৫০ কেজির দাম ৫০০০ থেকে ৬০০০ টাকা। আগের তুলনায় বর্তমানে তীর কাটারিভোগ চালের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণ বর্তমানে তীর কাটারিভোগ চালের অনেক চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে এর দাম একেক জায়গায় একেক রকম হতে পারে।
কাটারিভোগ চাল উৎপাদনে বিখ্যাত জায়গা
বর্তমানে কাটারিভোগ চাল বাংলাদেশে প্রায় সকম জায়গায় পাওয়া যায়। এই চাল সারা বাংলাদেশে অনেক বিখ্যাত। অনেকেই জানতে চায় কাটারিভোগ চাল উৎপাদনে কোন জায়গায় বিখ্যাত। আজকে আমরা আপনাদের জানিয়ে দিবো কাটারিভোগ চাল উৎপাদনে বিখ্যাত জায়গায়।
কাটারিভোগ বাংলাদেশের একটি সুগন্ধি চাল। এটি প্রধানত দিনাজপুর এলাকায় পাওয়া যায়। দিনাজপুরের কাটারিভোগ বাংলাদেশের একটি ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য। সারা বাংলাদেশে এই চালের অনেক জনপ্রিয়তা থাকলেও দিনাজপুর জেলায় এর চালের জনপ্রিয়তা বেশি। এই চাল দেখতে সরু ও লম্বা। এর অগ্রভাগ ছুরির মত একটু চোখা ও বাঁকা। এটি বাংলাদেশের সকল এলাকায় হয় না। এমনকি দিনাজপুরেও কেবল দিনাজপুর সদর উপজেলার ফাশিলাহাট, ছোট বাউল, বড় বাউল, করিমুল্যাপুর, খানপুর, চিরিরবন্দর উপজেলায় কাউগাঁ, বিষ্টপুর, তালপুকুর মুকুন্দপুর, দুর্গাডাঙ্গা, ভিয়াইল, পশ্চিম বাউল ও কাহারোল উপজেলার দু-একটি উঁচু জায়গায় এ বিশেষ জাতের ধান চাষ হয়। উঁচু বেলে-দোআঁশ মাটি কাটারিভোগ চাষের উপযোগী। তাই বলা যায় কাটারিভোগ চাল উৎপাদনে বিখ্যাত জায়গায় দিনাজপুর।
কাটারিভোগ চালের উপকারিতা
কাটারিভোগ চাল আমরা প্রায় সকলেই কম বেশি এই চাল খেয়ে থাকি। এই চাল সাধারণত সব জায়গায় উৎপাদন হয় না। বাংলাদেশের মধ্যে দিনাজপুর জেলায় এই চাল বেশি উৎপাদন হয়। অনেকেই জানতে চায় কাটারিভোগ চালের কি কি উপকারিতা রয়েছে। চলুন জেনে নেই কাটারিভোগ চালের উপকারিতা।
উপকারিতাঃ
অত্যান্ত জনপ্রিয় ও সুপ্রসিদ্ধ কাটারিভোগ চাল। কখন, কীভাবে দিনাজপুর জেলায় কাটারিভোগ ধানের চাষ শুরু হয়েছিল তা সঠিকভাবে জানা না গেলেও বিভিন্ন তথ্যে দেখা যায়, কাটারিভোগ দিনাজপুরের আদি ধান। ধারনা করা হয়ে থাকে আর্যদের আগমনের আগে থেকেই দিনাজপুরে কাটারিভোগ ধানের চাষ হয়ে আসছে। আর্থাৎ শত শত বছর ধরে দিনাজপুরে কাটারিভোগ ধানের চাষ হয়ে আসছে। কাটারিভোগ ধান থেকে উৎপন্ন কাটারিভোগ চাল যেমন সুগন্ধিযুক্ত তেমনি খেতেও সুস্বাদু। এ ধানের চিঁড়া হয় হালকা ধবধবে সাদা ও এতে আছে মিষ্টি সুগন্ধ। উকিপিডিয়ার মতে, কথিত আছে মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেব একবার দুর্নীতির অভিযোগে দিনাজপুরের রাজা প্রাণনাথকে নিজের দরবারে ডেকে পাঠান প্রাণনাথ সম্রাটের জন্য বহুমূল্য রত্ন এবং কাটারিভোগ চাল উপঢৌকন নিয়ে যান সম্রাট রত্নাদি উপহারের চেয়ে কাটারিভোগ চাল পেয়ে অধিক প্রসন্ন হন এবং খুশি হয়ে প্রাণনাথকে ‘মহারাজা’ উপাধি প্রদান করেন
কাটারিভোগ ধান থেকে উৎপন্ন চাল বাংলাদেশের অনেক জেলায় চাষ করা হলেও শুধুমাত্র দিনাজপুরের কাটারিভোগ চাল পৃথিবীজুড়ে বিখ্যাত। দিনাজপুরের মাটির গঠন ও বৈশিষ্ঠ ভিন্নিতার কারণে দিনাজপুরের কাটারিভোগ চাল এর সাথে অন্য জেলার কাটারিভোগ চাল মিল পাওয়া যায় না এমনকি ঘ্রাণ ও স্বাদ দুটই বদলে যায়। কাটারিভোগ চালের অনেক উপকারিতা রয়েছে। এটি এমন এক সিদ্ধ চাল যা থেকে ভিটামিন, মিনারেল, জিংক, ফাইবার ইত্যাদিসহ সকল পুষ্টি উপাদান পাওয়া যাবে, এই চালের ভাত সরু, লম্বা এবং খেতেও দারুন স্বাদ রয়েছে, এটি সম্পূর্ণ সুগন্ধি চাল।
আশা করি আপনারা আপনারা আমাদের এই পোস্ট থেকে কাটারিভোগ চালের দাম, উপকারিতা এবং আরো অনেক কিছু বিস্তারিত জানতে পেড়েছেন। আশা করি আমাদের এই পোস্টটি আপনাদের ভালো লেগেছে। পুড়ো পোস্টটি ধৈর্য ধরে সম্পূর্ণ পড়ার জন্য ধন্যবাদ।