কফির দাম কত

কফির দাম কত ২০২৪

Last Updated:10 months ago

আসসালামু আলাইকুম আশা করি সকলে ভালো আছেন। আজকে আমরা কফির দাম সম্পর্কে আলোচনা করবো। বর্তমান বাজারে বিভিন্ন ধরণের কফি পাওয়া যায়। একেক ধরণের কফির মূল্য একেক রকম হয়ে থাকে। বর্তমান বিশ্বে প্রায় সকল দেশের মানুষ কফি খেয়ে থাকে। বাংলাদেশে খুব কম কফি উৎপাদন হয়। বাংলাদেশে কফির উৎপাদন নেই বললেই চলে। তাই অন্যান্য দেশ থেকে প্রতি বছর প্রচুর পরিমাণে কফি আমদানি করা হয়। তাই অন্যান্য  দেশের তুলনায় বাংলাদেশে কফির দাম একটু বেশি। অনেকেই কফির দাম সম্পর্কে জানতে চায়। আজকে আমরা এই পোস্ট এর মাধ্যমে জানিয়ে দিবো কফির দাম কত

কফির দাম কত

সাধারণত কফির দাম কফির কোয়ালিটির উপর নির্ভর করে। একেক কোয়ালিটির কফির দাম একেক রকম। বর্তমান বাজারে গ্রিন কফির দাম ১১০০ থেকে ১২০০ টাকা। স্লিম কফির দাম ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা। নেসকেফ কফির দাম ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা এবং আমেরিকান কফির দাম ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা। এছাড়াও আরো বিভিন্ন কোয়ালিটির বিভিন্ন দামের কফি রয়েছে।

সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যকর কফি খেলে মত সতেজ হয় এবং শরীরে শক্তি আসে। সাম্প্রতিক গবেষণা অনুসারে, কফি সেবন কিছু গুরুতর রোগে সাহায্য করতে পারে যেমন টাইপ ২ ডায়াবেটিস, ফ্যাটি লিভার রোগ এবং ক্যানসার। এই গবেষণায় আরও বলা হয়েছে যে কেউ যদি নিয়মিত পরিমাণে কফি খান, তবে কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঝুঁকিও কমে যায়।


১ কেজি কফির দাম কত

কফি অনেক ধরনের হয়ে থাকে। একেক ধরনের কফির দাম একেক রকম। অনেকেই জানতে চায় কফির কেজি কত। চলুন জেনে নেই ১ কেজি কফির দাম। বর্তমান বাজারে ১ কেজি রেগুলার কফির দাম ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা। তবে আরেক ধরণের কফি রয়েছে যা হাতির মল থেকে তৈরি করা হয়। এর ১ কাফ কফির দাম প্রায় সাড়ে ৪ হাজার টাকা। এবং এর ১ কজি কফির দাম পৌনে ২ লক্ষ টাকা। এটি বিশ্বের সব থেকে দামি কফি বলা হয়ে থাকে।

কফিতে অনেক পুষ্টিগুন উপাদান রয়েছে যা আমাদের শরীরের পক্ষে অনেক উপকারি। আর এ কফিকে বিশ্বের সেরা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মানা হয়। জেনে অবাক হবেন, এটি প্রতিদিন আধাকাপ পরিমাণ খেলেও পাবেন ভালো ও উজ্জ্বল ত্বক। এ ছাড়া অ্যাজমা ও ক্যানসার নিরাময়েও এই কফি অনেক উপকারী।এ কফিতে দেওয়া জয়ফল হচ্ছে ফাইবারের খুব ভালো উত্স। আর এটি দ্রুত ওজন কমাতে সহায়তা করে। এ ছাড়া এটি খেলে খিদে পাওয়ার প্রবণতাও কম হয়ে থাকে।


গাওয়া কফির দাম কত

গাওয়া কফি হলো এক প্রকার এরাবিয়ান কফি যা এরাবিয়ানরা বেশি ব্যবহার করে থাকে। অনেকেই গাওয়া কফির দাম জানতে চায়। চলুন জেনে নেই গাওয়া কফির দাম। বর্তমান বাজারে ২৫০ গ্রাম গাওয়া কফির দাম ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা। ৫০০ গ্রাম গাওয়া কফির দাম ১৪০০ থেকে ১৫০০ টাকা। ১ কেজি গাওয়া কফির দাম ২৮০০ থেকে ৩০০০ টাকা। তবে এর দাম একেক জায়গায় একেক রকম হয়ে থাকে।

এরাবিয়ানরা এক প্রকার কফি খায় যাকে আরবীতে  গাওয়া বলে। এটি দেখতে গোল্ডেন কালারের। বিভিন্ন দামী মশলার মিশ্রণ থাকায় এটি অত্যন্ত সুগন্ধময়। চা বা কফির ফ্লেভারের চেয়ে এর স্বাদ সম্পূর্ণ ভিন্নরকম। মিষ্টি বা তেতো নয়, মসলার ফ্লেভারযুক্ত অত্যন্ত সুস্বাদের ভিন্ন এক মজাদার পানীয় এটি। এটি শরীরের অতিরিক্ত ফ্যাট ও চর্বি কমাতে সাহায্য করে।এটি ডায়াবেটিস, হৃদরোগ,, উচ্চ রক্তচাপ, ক্যান্সারসহ আরো অনেক রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। এটি পান করার পর মূহুর্তেই শরীরে ফিরে আসে  সজিবতা। কর্মক্ষমতা বাড়ানো এবং পৌরুষ ধরে রাখতে আরবরা এটি নিয়মিত পান করে। এছাড়াও এর আরো উপকার রয়েছে।


ব্ল্যাক কফির দাম কত

ব্লাক কফি আমাদের শরীরের পক্ষে অনেক উপকারি। অনেকেই ব্লাক কফির দাম সম্পর্কে জানতে চায়। আজকে আমরা এই পোস্ট এর মাধ্যমে জানিয়ে দিবো ব্লাক কফির দাম। বর্তমান বাজারে নেসক্যাফের ব্লাক কফির দাম ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা। এছাড়া ভালো মানের ব্লাক কফির দাম ১২০০ থেকে ১৩০০ টাকা। তবে এর দাম একেক জায়গায় হয়ে থাকে।

ব্লাক কফি আমাদের শরীরের পক্ষে অনেক উপকারি। ব্ল্যাক কফিতে রয়েছে ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড, যা তাড়াতাড়ি মেদ(Fat) ঝরাতে সাহায্য করে। এ ছাড়া নতুন করে শরীরে মেদ জমতেও দেয় না।ব্ল্যাক কফি শরীরের বিপাকীয় হার বাড়ায়। এতে হুট করে খিদে পেয়ে যাওয়ার প্রবণতা বন্ধ হয়। তবে কফিতে কিন্তু চিনি(Sugar) মিশিয়ে খাবেন না।ব্ল্যাক কফি খেলে সারাদিন অনেক বেশি সক্রিয় থাকা যায়। কাজেও অনেক বেশি মন দেওয়া যায়। অতিরিক্ত পরিমাণ ক্যালোরি(Calorie) ঝরাতেও সাহায্য করে এই কফি। তাই শরীরচর্চা করার আগে ব্ল্যাক কফি খেতে পারেন।


গ্রিন কফির দাম কত

গ্রিন কফি আমাদের শরীরকে সবসময় অনেক সুস্থ্য রাখতে সাহায্য করে। অনেকেই গ্রিন কফির দাম সম্পর্কে জানতে চায়। চলুন জেনে নেই গ্রিন কফির দাম কত। বর্তমান বাজারে ১৮০ গ্রাম স্লিম গ্রিন কফির দাম ১২০০ থেকে ১২৫০ টাকা। কেটো গ্রিন কফির দাম ৯০০ থেকে ১০০০ টাকা। সাধারণত গ্রিন কফির মধ্যে কেটো গ্রিন কফি অনেক ভালো।

সুস্থ জীবনধারণ বজায় রাখা ব্যক্তিদের অনেকেরই খাদ্যাভাসে আজকাল শোভা পাচ্ছে গ্রীন কফি। গ্রীন কফি আসে মূলত গ্রীন কফির বীজ থেকে। সাধারণ কফির ন্যায় এটি কোন রকম

প্রক্রিয়াজাত করা বা ভাজা হয় না; একদম কাঁচা থাকে। গ্রীন কফি বীজের নির্যাস সুইস ওয়াটার প্রক্রিয়ায় কফিকে ডিক্যাফিনেটিং করতে ব্যবহার করা হয়। সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক এই প্রক্রিয়াটি ১৯৮০-এর দশক থেকে বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।


কফির মেশিনের দাম কত

বাংলাদেশে কফি মেশিনের চাহিদ প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশের শহরাঞ্চল ছাড়িয়ে গ্রামেও এখন কফি খাওয়ার বেশ চাহিদা আছে। তাই বাড়িতে ছোট কফি মেকার মেশিনের পাশাপাশি অফিস বা ব্যবসার জন্য কফি মেশিনের চাহিদা এখন অনেক। অনেকেই জানতে চায় কফির মেশিনের দাম সম্পর্কে। চলুন জেনে নেই কফি মেশিনের দাম কত।

বিভিন্ন কফি মেশিনের দামঃ

Delonghi EC9 800W Steam Coffee Maker      ৳ ১৬,৫০০ টাকা।

Delonghi ECAM22110SB Automatic Coffee Maker  ৳ ৭৩,০০০ টাকা। 

Krups EA8178 Fully Automatic Coffee Machine ৳ ৫৬,০০০ টাকা।

Maxbrown Coffee and Tea Vending Machine Auto Coffee Maker ৳ ২৮,৫০০ টাকা।

Ocean OCM-6622 1.5-Liter Coffee Maker      ৳ ২,২০০ টাকা।

Suja Global 20L Coffee Machine   ৳ ২৫,৫০০ টাকা।

Electric Coffee Mixer      ৳ ৬৫০ টাকা।

De'Longhi Distinta ECI 341.CP Pump Espresso Coffee Maker  ৳ ২৮,৫০০ টাকা।


নেসলে কফির দাম কত

বর্তমানে নেসলে কফির অনেক চাহিদা রয়েছে। অনেকেই নেসলে কফির দাম সম্পর্কে জানতে চায়। চলুন জেনে নেই নেসলে কফির দাম। বর্তমান বাজারে নেসলে কফির ১০০ গ্রাম জারের দাম ৩৫০ থেকে ৩৬০ টাকা। নেসলে কফির ২০০ গ্রাম পাউচ প্যাকের দাম ৩৮০ থেকে ৪০০ টাকা। এছাড়া নেসলে কফি মেট (জার)   ৪০০ গ্রাম মূল্য : ৬৫০/- টাকা। নেসলে কফি মেট (প্যাকেট) ১০০০ গ্রাম মূল্য : ৯৮৫/- টাকা।
নেসলে কফির অনেক উপকারিতা রয়েছে। নেসলে কফি ভালো মানের কফির বীজ থেকে তৈরি করা হয়। শারীরিক অবসাদ দূর করার জন্য মোক্ষম পানীয় কফি। শরীর মন চাঙ্গা করতে এক কাপ গরম কফির বিকল্প নাই। কফিতে থাকা উপাদানের নাম ক্যাফেইন। ক্যাফেইন শরীরে উদ্যম ও উৎসাহ তৈরি করে। তাই খেলাধুলা কিংবা কঠিন কাজ করার আগে কফি খেলে উপকার পাবেন। ওজন কমাতে নির্ভর করতে পারেন কফির ওপর। কফি ফ্যাট কমাতে সাহায্য করে এবং কর্মক্ষমতা বাড়ায়। সকালে জিম শুরু করার আগে এক কাপ ব্ল্যাক কফি খেলে শরীরের ক্যালরি ক্ষয় হয়। ফলে ওজন কমে।

কফির প্যাকেটের দাম কত

বর্তমানে বিভিন্ন কফির জারের পাশাপাশি বিভিন্ন কফির প্যাকেটও পাওয়া যায়। কফির জারের দাম বেশি হওয়ায় বর্তমানে কফির প্যাকেটের চাহিদা অনেক। অনেকেই জানতে চায় কফির প্যাকেটের দাম। চলুন জেনে নেই কফির প্যাকেটের দাম। বর্তমান বাজারে ১২০ গ্রাম গ্রিন কফির প্যাকেটের দাম ১২০০ থেকে ১২৫০ টাকা। ম্যাক্স কার্ভ কফি প্যাকেটের দাম ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা। ম্যাক্স কার্ভ কফি ১৫০ গ্রামের দাম ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা। এবং স্লিম কফি প্যাকেটের দাম ৭০০ থেকে ৭৬০ টাকা।
কফি আমাদের অনেক রকম উপকার করে থাকে। কফি কর্মক্ষমতা বাড়ায়। ক্যাফেইন রক্তের এপিনেফ্রিন বাড়িয়ে তোলে। ফলে কাজে উদ্যম বেড়ে যায়। কফি ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায় ২৩ থেকে ৬৭ শতাংশ পর্যন্ত। জটিল এই রোগের ঝুঁকির হাত থেকে বাঁচতে কফি খান নিয়মিত। মানসিক চাপে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন অনেকেই। কি করবেন বুঝতে পারেন না। তখন এক কাপ কফি মানসিক ও শারীরিক প্রশান্তি দেবে। ফলে চাপের কারণে যেসব রোগ দানা বাঁধে শরীরে সেগুলো প্রতিরোধে সাহায্য করে কফি। কফির বিভিন্ন ধরনের উপকারের জন্য বর্তমানে কফির অনেক চাহিদা।

কফি বানানোর নিয়ম

কফি আমাদের জীবনে শারীরিক উপকারের সাথে সাথে  মানসিক দিক দিয়েও অনেক উপকার করে। আমরা অনেকেই কফি খেয়ে থাকি। কিন্ত অনেকেই কফি বানানোর সঠিক নিয়ম জানে না। অনেকেই কফি বানানোর নিয়ম জানতে চায়। চলুন জেনে নেই কফি বানানোর নিয়ম।
কফি বানানোর নিয়মঃ
প্রথমেই লাগবে উপকরণ
১. দুধ ১২৫ মিলি লিটার
২. কফি গুঁড়া দেড় বা ২ চা চামচ
৩. ফুটন্ত গরম পানি ৭০ মিলি লিটার
৪. চিনি ২ চা চামচ ও
৫. কোকো পাউডার সামান্য।
প্রথমে কাপের চেয়ে সামান্য বড় একটি পুরু কাগজের মাঝে হার্ট শেপ বা নিজের পছন্দ মতো ডিজাইন করে কার্টার দিয়ে কেটে নিন।অন্যদিকে প্যানে দুধ ঢেলে গরম করে নিন। দুধ গরম হয়ে ফুটে উঠলে চুলা থেকে নামিয়ে নিন। তারপর খুব ভালো করে ফেটিয়ে নিতে হবে দুধ, যাতে ফেনা ওঠে। ফেনা যেন ১/৩ কাপ হয়। এবার কাপে কফি, চিনি ও ২ চামচ গরম পানি দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। বাকি পানি ঢেলে কফি বানাতে হবে।এবার চামচ দিয়ে দুধের ফোম দিতে হবে। ফোম যেন কাপ ভর্তি না হয়ে যায় সেদিকে খেয়াল রাখবেন। ওপরে যেন ২ মিলি লিটারের মতো জায়গা থাকে।এবার কফি কাপের ওপর ডিজাইন করা কাগজ বসিয়ে ছাঁকনিতে কোকো পাউডার চেলে দিন। দেখবেন ডেকোরেশন হয়ে যাবে। কফির উপরে সুন্দর একটি হার্ট শেপ তৈরি হবে। চাইলে কফি স্টিক দিয়ে কফি বানিয়ে তার ওপর মিল্ক ফোম দিয়ে ডেকোরেশন করতে পারেন।

কফির উপকারিতা ও অপকারিতা

কফিতে রয়েছে অনেক ধরনের ভিটামিন। কফি আমাদের দৈনন্দিন জীবনের কর্মক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। কফির মধ্যে শারীরিক অনেক উপকার রয়েছে। কফিতে যেমন উপকার রয়েছে তেমনি কিছু অপকারও রয়েছে। অনেকেই কফির উপকারিতা অপকারিতা সম্পর্কে জানতে চায়। চলুন জেনে নেই কফির উপকারিতা ও অপকারিতা।

উপকারিতাঃ
খেলাধুলায় উন্নতি: ক্যাফেইন যুক্ত কফি খেলে খেলাধুলায় প্রাণ পাওয়া যায়। যদিও হৃদপিণ্ডের গতি বাড়ায়, তারপরও কফি শরীরে উদ্যম ও উৎসাহ তৈরি করে। তাই যে কোনো খেলার আগে কফি পান শরীরে আনে আলাদা শক্তি।
মানসিক শক্তি বৃদ্ধি: গবেষণায় দেখা গেছে মানসিক চাপের সময়, ২০০ মি.গ্রাম ক্যাফেইন শরীরে গেলে মনোযোগ বৃদ্ধি পায়। অন্যদিকে প্রমাণ মিলেছে আলঝেইমার (স্মৃতিভ্রংশ) রোগের ক্ষেত্রে বিশেষ উপকারী পদার্থ ক্যাফেইন।
রোগের ঝুঁকি কমায়: ক্যাফেইন যুক্ত বা বিহীন, যে কোনো ধরনের কফি টাইপ টু ডায়াবেটিস রোগের ঝুঁকি কমায়। সেই সঙ্গে দেখা গেছে কিছু ক্যান্সারের ঝুঁকিও কমায় কফি।
কলিজার রক্ষাকবচ: অ্যালকোহল সেবন ও স্থূলতা, যকৃতে মেদ জমার পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। ব্যথার পাশাপাশি যকৃতের অতিরিক্ত মেদ থেকে হতে পারে লিভার সিরোসিস। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, কোনো কোনো সময় লিভার বা যকৃতের মেদ কমাতে ক্যাফেইন কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
আনন্দ অনুভূতি: সত্যি বলতে কফির গন্ধই আপনাকে অনেকখানি চাঙা করে দেয়। আর পেটে কফি পড়লে মনের বিষাদভাব কাটতে বেশি সময় লাগে না।

অপকারিতাঃ
হৃদয়ের জন্য ভালো নয়: কিছু গবেষণায় দেখা গেছে ক্যাফেইন হৃদপিণ্ডের রক্তসরবরাহকারী ধমনীতে রক্ত চলাচল ধীর করে দেয়। বিশেষ করে যখন বেশি দরকার, যেমন: ব্যায়ামের সময়। তাছাড়া বুকধড়ফড়ানি, অনিয়মিত হৃদস্পন্দন বা উচ্চ রক্তচাপের জন্যেও শরীরের অতিরিক্ত ক্যাফেইন দায়ী।
ঘুমের ব্যাঘাত: এক কথা অনেকেই জানেন, চা বা কফি খেলে ঘুম কম হয়। গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, যারা দিনে তিন কাপের বেশি কফি পান করেন তাদের শান্তির ঘুম খুব কমই হয়। আরেক গবেষণায় দেখা গেছে, যারা কফি খান না তাদের থেকে কফি পানকারীদের ৭৯ মিনিট কম ঘুম হয়। তাই ঘুমের সমস্যা থাকলে কফিকে না বলুন।
চিনির সঙ্গে আত্মীয়: যদিও অনেকে চিনি ছাড়া কফি পান করেন। তবে কফির সঙ্গে কেক, বিস্কুট বা সকালের নাস্তার অনেক পদেই থাকে চিনি। সবমিলিয়ে দেখা যায়, সারা দিনে হয়তো ১১ টেবিল-চামচ চিনি খাওয়া হয়ে যাচ্ছে। তাই যারা ওজন কমানোর চেষ্টায় আছেন, তাদের চেষ্টা তখন বিফলে যাবে।
মেজাজের জন্য খারাপ: ক্যাফেইন শরীরের অ্যাড্রেনালিন নামক একধরনের হরমোনের মাত্রা বাড়ায়। যে কারণে শরীরের টানটান উত্তেজনা বা ঘাবড়িয়ে যাওয়ার অনুভূতির মাত্রা বাড়িয়ে দেয়।
সন্তান ধারণে অক্ষমতা: দৈনিক পাঁচ কাপের বেশি কফি খেলে গর্ভধারণের ক্ষমতা কমে যেতে পারে। যদি মা হতে চান, তবে অবশ্যই কফি খাওয়ার পরিমাণ কমাতে হবে। আর গর্ভধারণের পর কফি বাদ দিন। কারণ দৈনিক ২০০ মি.গ্রাম ক্যাফেইন শরীরে গেলে গর্ভের শিশুর ক্ষতি হওয়ার পাশাপাশি জন্মক্রটি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

আশা করি আপনারা আমাদের এই পোস্ট থেকে বিভিন্ন কফির দাম, কফি বানানোর নিয়ম, কফি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা এবং আরো অনেক কিছু জানতে পেড়েছেন। আমাদের এই পোস্টে কফি সম্পর্কে বিস্তারিত দেওয়া আছে। আশা করি আমাদের এই পোস্টটি আপনাদের ভালো লেগেছে। পুড়ো পোস্টটি ধৈর্য ধরে সম্পূর্ণ পড়ার জন্য ধন্যবাদ। 

একই ধরনের পোস্ট

×