ভিয়েতনাম নারিকেল গাছের দাম কত ২০২৪
আসসালামু আলাইকুম। আজকে আমরা ভিয়েতনাম নারিকেল গাছের দাম সম্পর্কে আলোচনা করবো। নারিকেল বাংলাদেশের অন্যতম অর্থকরী ফসল। এটা এমন এক বৃক্ষ যার প্রতিটি অঙ্গ জনজীবনে কোনো না কোনোভাবে কাজে আসে। অনেকেই বাড়িতে নারিকেল গাছ রুপন করে থাকে। নারিকেল গাছেরও কিছু জাত রয়েছে। সেই জাত গুলোর মধ্যে ভিয়েতনামের নারিকেল গাছ অনেক ভালো হয়ে থাকে। এবং বর্তমানে এই ভিয়েতনাম নারিকেল গাছ এর অনেক চাহিদা রয়েছে। আজকে আমরা আমাদের এই পোস্টের মাধ্যমে জানিয়ে দিবো ভিয়েতনাম নারিকেল গাছের দাম।
ভিয়েতনাম নারিকেল গাছের দাম কত
বর্তমানে দুই ধরণের ভিয়েতনাম নারিকেল গাছ পাওয়া যায়। হাইব্রিড এবং সাধারণ। বর্তমানে বাংলাদেশে হাইব্রিড ভিয়েতনাম নারিকেল গাছের দাম প্রতি পিচ ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা। এছাড়াও সাধারণ ভিয়েতনাম নারিকেল গাছের দাম প্রতি পিচ ৯০০ থেকে ১০০০ টাকা। এছাড়া সাধারণ ভিয়েতনাম নারিকেল গাছের দাম ৯০০ থেকে ১০০০ টাকা প্রতি পিচ। তবে এর দাম বর্তমানে কম বেশি হতে পারে।
নারিকেল গাছের দাম কত
নারিকেল বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান অর্থকরী ফসল। ব্যবহার বৈচিত্র্যে এটি একটি অতুলনীয় বৃক্ষ। তবে আমাদের দেশে প্রচলিত নারিকেলের জাতের ফলন খুবই কম। গাছপ্রতি বছরে সর্বোচ্চ ৫০টি নারিকেল পাওয়া যায় এবং ফলন পেতে ৬/৭ বছর সময় লাগে। বর্তমানে অনেক ধরণের নারিকেল গাছ পাওয়া যায়। অনেকেই জানতে চায় নারিকেল গাছের দাম কত। চলুন জেনে নেই নারিকেল গাছের দাম।
বর্তমানে বাংলাদেশে অনেক ধরণের অনেক জাতের নারিকেল গাছ পাওয়া যায়। তার মধ্যে একটি হলো ভিয়েতনাম নারিকেল গাছ। বর্তমানে প্রতি পিচ ভিয়েতনাম নারিকেল গাছের দাম ৭৫০ থেকে ১০০০ টাকা। এছাড়া অনেকেই বেশি পরিমাণে ক্রয় করতে চায়। ৫ পিচ ভিয়েতনাম নারিকেল গাছের দাম হলো ৩৭৫০ থেকে ৫০০০ টাকা। এছাড়া ১০ পিচ ভিয়েতনাম নারিকেল গাছের দাম হলো ৭৫০০ থেকে ১০ হাজার টাকা। এবং ২০ পিচ ভিয়েতনাম নারিকেল গাছের দাম হলো ১৫ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকা। এছাড়াও আরো রয়েছে ডোয়ার্ফ (খাটো) জাতের নারিকেল গাছ যার প্রতি পিচের দাম ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা। তবে এর দাম কম বেশি হতে পারে।
হাইব্রিড নারিকেল গাছের দাম কত
বর্তমানে অনেক ধরণের নারিকেল গাছ পাওয়া যায়। তবে সব গুলোতেই তাড়াতাড়ি ফলন আসে না। তবে বর্তমানে দুই ধরণের হাইব্রিড নারিকেল গাছ পাওয়া যায় ভিয়েতনাম হাইব্রিড নারিকেল গাছ এবং ডোয়ার্ফ হাইব্রিড নারিকেল গাছ এই দুই জাতের নারিকেল গাছে অনেক দ্রুত ফল দেয়। বর্তমানে এই দুই জাতের নারিকেল গাছের চাহিদা অনেক। অনেকেই জানতে চায় হাইব্রিড নারিকেল গাছের দাম কত। চলুন জেনে নেই হাইব্রিড নারিকেল গাছের দাম।
বর্তমানে ভিয়েতনাম হাইব্রিড নারিকেল গাছের দাম প্রতি পিচ ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা। এছাড়া এই গাছের অনেক চাহিদা থাকায় অনেকেই এই গাছ একেবারে অনেক গুলো অনেক বেশি পরিমাণে কিনতে চায়। ১০ পিচ ভিয়েতনাম নারিকেল গাছের দাম ৭০০০ থেকে ৭৫০০ টাকা। ২০ পিচ ভিয়েতনাম হাইব্রিড নারিকেল গাছের দাম ১৪ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা। এবং ৫০ পিচ ভিয়েতনাম হাইব্রিড নারিকেল গাছের দাম ৩৫ হাজার থেকে ৩৭ হাজার ৫০০ টাকা। এছাড়াও আরো রয়েছে ডোয়ার্ফ হাইব্রিড নারিকেল গাছ যার প্রতি পিচ এর দাম ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা। ১০ পিচ এর দাম ৫০০০ থেকে ৭০০০ টাকা। এবং ২০ পিচ এর দাম ১০ হাজার থেকে ১৪ হাজার টাকা। তবে এর দাম বর্তমানে কিছুটা কম বেশি হতে পারে।
ভিয়েতনাম নারিকেল গাছ কোথায় পাওয়া যায়
বর্তমানে আমাদের দেশের যেই নারিকেল গুলো পাওয়া যায় সেই গুলোতে অনেক দেরিতে ফল আসে। দেশি নারিকেল গাছ গুলোতে ফল আসতে কয়েকবছর লেগে যায়। তবে বর্তমানে বাংলাদেশে ভিয়েতনামের ভিয়েতনাম নারিকেল গাছ পাওয়া যায়। অনেকেই এই গাছ কিনতে চায় তবে এই গাছ সব নার্সারিতে পাওয়া যায় না তাই সবাই এই গাছ ক্রয় করতে পারে না। অনেকেই জানতে চায় ভিয়েতনাম নারিকেল গাছ বাংলাদেশে কোথায় পাওয়া যায়। চলুন জেনে নেই ভিয়েতনাম নারিকেল গাছ কোথায় পাওয়া যায়।
সারা দেশে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ৭৩টি হর্টিকালচার সেন্টার আছে। হর্টিকালচার সেন্টারগুলোতে ভিয়েতনামি খাটো জাতের নারিকেলের চারা পাওয়া যাবে। সহজে পানি নিষ্কাশন হয় বা পানি বের করে দেওয়া যায় এমন দো-আঁশ থেকে বেলে দো-আঁশ মাটির জমি। রোপণের সময় : জুন-সেপ্টেম্বর। এছাড়াও ভিয়েতনামের এই নারিকেল এখন শোভা পাচ্ছে খুলনার দৌলতপুর ও সাভারের রাজালাখ হর্টিকালচার সেন্টারে। এই নারিকেলের মূলত দুটি জাত দেখা যায় একটি হলো সিয়াম ব্লু কোকোনাট এবং অপরটি হলো সিয়াম গ্রিন কোকোনাট । এই দুই জাতের নারিকেল গাছই এখন আমাদের দেশে শোভা পাচ্ছে। এছাড়া আরো অনেক জায়গায় এই ভিয়েতনাম নারিকেল গাছের চারা পাওয়া যেতে পারে।
ভিয়েতনাম নারিকেল গাছ চেনার উপায়
ভিয়েতনাম নারিকেল গাছ বর্তমানে ভিয়েতনাম নারিকেল গাছের অনেক চাহিদা রয়েছে। অনেকেই বাড়িতে বাগানে এই গাছ রুপন করে থাকে। অন্যান্য নারিকেল গাছের তুলনায় এই ভিয়েতনাম নারিকেল গাছে অনেক দ্রুত ফল আসে। ভিয়েতনাম নারিকেল গাছ সাধারণত দেখতে অনেক খাটো হয়ে থাকে। এইরকম খাটো জাতের আরো অনেক নারিকেল গাছ আছে। অনেকেই এই ভিয়েতনাম নারিকেল গাছ ক্রয় করতে চায় কিন্ত অধিকাংশ মানুষ এই ভিয়েতনাম নারিকেল গাছ চিনতে ভূল করে। অনেকেই জানতে চায় ভিয়েতনাম নারিকেল গাছের কিভাবে চিনবো। চলুন জেনে নেই ভিয়েতনাম নারিকেল গাছ চেনার উপায়।
উন্নত জাতের ভিয়েতনামের খাঁটো জাতের নারিকেল চারা চেনার উপায় হলোঃ নারিকেল গাছ গুলোর গোড়া ছোট থেকেই মোটা আকার হয়ে থাকে। আর চারা বপণের আড়াই থেকে তিন বছরের মধ্যেই ফলবে। চাষিকে ৬-৭ বছর অপেক্ষা করতে হয় না। নতুন উদ্ভাবিত এ গাছ বছরে ২০০ থেকে ২৫০টি নারিকেল দিয়ে থাকে। পরিমাণটি দেশি গাছের তুলনায় তিন থেকে পাঁচ গুণ বেশি। গাছের উচ্চতা ২ থেকে ৪ ফুট হলেই নারিকেল ধরা শুরু করে। কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে এই নারিকেল গাছ রোপনে জোর দেয়া হচ্ছে।
ভিয়েতনাম নারিকেল গাছ রোপন পদ্ধতি
নারিকেল বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান অর্থকরী ফসল। এটা এমন এক বৃক্ষ যার প্রতিটি অঙ্গ জনজীবনে কোনো না কোনোভাবে কাজে আসে। আমাদের দেশে বর্তমানে নারিকেলের যেসব জাতের প্রচলন আছে সেগুলো মূলত লম্বা জাতের,ফলন তুলনামুলকভাবে কম,ফল প্রাপ্তির সংখা বছরে ৫০-৬০ টি ফল দেয় এবং ফলন পেতে স্বাভাবিকভাবে ৭ থেকে ৮ বছর সময় লাগে। তাই নারিকেলের ফলন যাতে তাড়াতাড়ি পাওয়া যায় তাই নতুন ভিয়েতনাম জাতের নারিকেল আবাদের ব্যাপারে জোর দেওয়া হচ্ছে। অনেকেই ভিয়েতনাম নারিকেল গাছ রোপন করতে চায়। চলুন জেনে নেই ভিয়েতনাম নারিকেল গাছ রোপনা পদ্ধতি।
গর্ত তৈরি ও সার প্রয়োগ : ১মি x ১ মি x ১ মি মাপের গর্ত তৈরি করা প্রয়োজন। গর্ত তৈরি করে ৪-৫ দিন রোদে রাখার পর প্রতি গর্তে পচা গোবর অথবা আবর্জনা পচা সার ৪০-৫০ কেজি, কেঁচো সার ২ কেজি, হাড়ের গুড়া অথবা শুঁটকি মাছের গুড়া ১ কেজি, নিমের খৈল ৫০০ গ্রাম, টিএসপি ৩০০ গ্রাম, এমওপি ৩৫০ গ্রাম, জিঙ্ক সালফেট ১০০ গ্রাম, বোরন বা বোরিক এসিড, ২০০, ফুরাডান বা কার্বোফুরান ৫০ গ্রাম এবং কার্বেন্ডাজিম দলীয় ছত্রাকনাশক ১০ গ্রাম প্রয়োগ করতে হবে। মাটিতে অবস্থানরত পোকার আক্রমণ থেকে চারা রক্ষার জন্য প্রতি গর্তে ৫০ গ্রাম ফুরাডান প্রয়োগ করতে হয়। সব কিছু মাটির সাথে মিশিয়ে দেওয়ার পরে ১২-১৫ দিনের মধ্যে গাছ লাগিয়ে গর্ত ভরাট করে দিতে হবে। ভরাটের পর পানি দিয়ে গর্তটাকে ভিজিয়ে দিতে হবে যাতে সব সার ও অন্যান্য উপাদান মাটির সঙ্গে ভালোভাবে মিশে যায়। গর্তের তলায় বা নিচের স্তরে ১০-১৫ সেমি চওড়া করে নারিকেলের ছোবড়া দিয়ে ভরাট করা হলে তা বাতাস চলাচল ও শিকড় ছড়ানোর জন্য সহায়ক হবে।
চারা রোপণ : গর্তের মাঝখানে নারিকেল চারা এমনভাবে রোপণ করতে হবে যাতে নারিকেলের খোসা সংলগ্ন চারার গোড়ার অংশ মাটির ওপরে থাকে। চারা রোপণের সময় মাটি নিচের দিকে ভালোভাবে চাপ দিতে হবে যাতে চারাটি শক্তভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে পারে।
আশা করি আপনারা আমাদের এই পোস্ট থেকে ভিয়েতনাম নারিকেল গাছের দাম, হাইব্রিড নারিকেল গাছের দাম, ভিয়েতনাম নারিকেল গাছ কোথায় পাওয়া যায়, ভিয়েতনাম নারিকেল গাছ চাষ পদ্ধতি এবং ভিয়েতনাম নারিকেল গাছ সম্পর্কে আরো অনেক কিছু জানতে পেড়েছেন। আমাদের এই পোস্টে ভিয়েতনাম নারিকেল গাছ সম্পর্কে বিস্তারিত দেওয়া আছে। আশা রাখি আমাদের এই পোস্টটি আপনাদের ভালো লেগেছে । পুড়ো পোস্টটি ধৈর্য ধরে সম্পূর্ণ পড়ার জন্য ধন্যবাদ।